স্বদেশ ডেস্ক:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের পুনরুত্থানের জন্য মার্শাল প্ল্যান ঘোষণা করা হয়েছিল। ইউক্রেনকে নতুন করে তৈরি করতে তেমনই পরিকল্পনা প্রয়োজন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট রোববার জানিয়েছেন, যুদ্ধে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত ইউক্রেন। গোটা দেশটিকেই কার্যত নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র উপায় হলো ইউক্রেনের জন্য মার্শিল প্ল্যান বা পরিকল্পনা ঘোষণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপকে নতুন করে গড়ে তুলতে অ্যামেরিকা প্রথম মার্শাল প্ল্যান ঘোষণা করেছিল।
প্রেসিডেন্ট বর্জ ব্রেন্ডের বক্তব্য, ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হবে বলেও মনে হচ্ছে না। কিন্তু আর অপেক্ষা করা উচিত হবে না। যে অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের হাতে আছে, রাশিয়ার সেনা যেখান থেকে চলে গেছে, সেখানে সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু করে দেয়া উচিত।
গত জানুয়ারি মাসে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত মে মাসের শেষে দাভোস বৈঠকে মিলিত হয়েছে দেশগুলো। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোরাম শুরু হবে।
গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্য, এক ভয়াবহ রিসেশন বা অর্থনৈতিক মন্দার দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। এর ফলে বহু মানুষের চাকরি যাবে, দারিদ্র্য বাড়বে। পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। কোভিড এবং তারপরে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতির সংস্কার খুব ধীর গতিতে হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে মন্দার হাত থেকে বিশ্বকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল রাশিয়া ইতোমধ্যে দখল করে নিয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে দাবি করছে মস্কো। কিন্তু ইউক্রেন কোনোভাবেই তা মানতে চাইছে না।
সূত্র : ডয়চে ভেলে